Site icon Youth Ki Awaaz

Bengali Citation Format: বাংলা উদ্ধৃতি প্রকরণ

Author: Richa Jha

Reviewer: Indrayani Bhadra

বিষয়সূচী(Table of Content)

অধ্যায়-১: রাষ্ট্রীয় সূত্রদয় (NATIONAL SOURCES) 1

I.     সংবিধান (CONSTITUTION) 1

i.      প্রস্তাবনা (Preamble) 1

ii.     অনুচ্ছেদ (Article) 1

iii.   তফসিলসমূহ (Schedule) 2

iv.    সাংবিধানিক সংশোধন (Constitutional Amendment) 2

II.    লিপিবদ্ধ আইন এবং নৈমিত্তিক নিয়মসমূহ (STATUTES AND RULES) 3

i.      লিপিবদ্ধ আইনসমূহ (Statute) 3

ii.     নৈমিত্তিক নিয়মসমূহ (Rules) 4

III.      মামলা-মোকদ্দমা, আদালতের নির্দেশ, এবং আদালতের নথিপত্র  (CASES, ORDERS & COURT DOCUMENTS) 4

i.      আদালতের মামলা (Court Cases) 4

ii.     ট্রাইবুনাল বিচারসভার মামলা (Tribunals’ Cases) 4

IV.       পুস্তক এবং পুনরুক্তিময় প্রকাশনা (BOOKS AND PERIODICAL MATERIALS) 5

i.      বই (Books) 5

ii.     প্রকাশনী (E-books) 6

V.    সংবাদপত্র/পত্রিকার নিবন্ধ/প্রতিবেদন (NEWSPAPER/MAGAZINE ARTICLES/REPORT) 6

i.      সংবাদপত্র (Newspaper) 6

ii.     প্রতিবেদন (Report) 7

iii.   পত্রিকার নিবন্ধ (Magazine) 7

iv.    জার্নালের নিবন্ধ (Journal Article) 7

v.     প্রাকপ্রকাশনী প্রবন্ধ (Working Paper) 8

vi.    অনলাইন অনুচ্ছেদ (Online Article) 8

vii.   ব্লগ (Blog Article) 9

VI.       আইন-প্রণয়নকর এবং বিভাগিও কার্যধারা (LEGISLATIVE & OFFICIAL PROCEEDINGS) 9

VII.     প্রকাশ্য বিবৃতি (PRESS RELEASE) 10

অধ্যায়-২: সর্বদেশীয় সূত্রদয় (INTERNATIONAL SOURCES) 10

I.     জাতিসঙ্ঘের (ইউ এন) এর প্রস্তাব (RESOLUTIONS OF UNITED NATIONS) 10

II.    জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন বা বিবরনী (UN REPORTS) 11

III.  আন্তর্জাতিক কেস আইন (INTERNATIONAL CASE LAWS) 11

IV.   চুক্তি/সম্মেলন  (TREATIES/ CONVENTIONS) 11

অধ্যায়-৩: সঙ্কেতচিহ্ন ও সংক্ষেপণরীতি (SIGNS AND SYMBOLS) 12

I.     অধি (Supra) 12

II.    দেখুন (SEE) 12

III.  তথায় (IBID) 12

IV.   অধো (INFRA) 13

V.    পূর্ণ-বিরতি (FULL STOP) 13

অধ্যায়-১: রাষ্ট্রীয় সূত্রদয় (NATIONAL SOURCES)

স্বদেশী সুত্রের উদ্ধৃতিকরণ করতে নিম্নলিখিত বিন্যাস অনুসরণ করুন-

      I.           সংবিধান (CONSTITUTION)

সঠিক প্রস্তাবনা/অনুচ্ছেদ/তফসিল উল্লেখ করুন। উল্লিখিত বর্ণনশেষে কমা (,) ব্যবহার করুন, এবং লিখুন – “ভারতীয় সংবিধান, ১৯৫০”। যেকোনো পাদটীকার শেষে পূর্ণ বিরতির (।) প্রয়োগ অত্যাবশ্যক।

      i.        প্রস্তাবনা (Preamble)

সংবিধানের প্রস্তাবনার কোনো অংশ উল্লেখ করার সময় “প্রস্তাবনা” শব্দটি উল্লেখ করুন, এবং তারপর একটি কমা (,) ব্যবহার করুন। তারপর উল্লেখ করুন – “ভারতীয় সংবিধান, ১৯৫০” এবং একটি পূর্ণ-বিরতি (।) দিন। উদাহরণ স্বরূপ-

     ii.          অনুচ্ছেদ (Article)

সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করার সময় “অনুচ্ছেদ” শব্দটি এবং তার সংখ্যা উল্লেখ করুন, এবং তারপর একটি কমা (,) ব্যবহার করুন। তারপর উল্লেখ করুন – “ভারতীয় সংবিধান, ১৯৫০” এবং একটি পূর্ণ-বিরতি (।) দিন। উদাহরণ স্বরূপ-

   iii.          তফসিলসমূহ (Schedule)

সংবিধানের কোনো তফসিল উদ্ধৃত করার সময় “তফসিল” শব্দটি এবং তার সংখ্যা উল্লেখ করুন, এবং তারপর একটি কমা (,) ব্যবহার করুন। তারপর উল্লেখ করুন – “ভারতীয় সংবিধান, ১৯৫০” এবং একটি পূর্ণ-বিরতি (।) দিন। উদাহরণ স্বরূপ-

যদি কোন কারণবশতঃ কোন নির্দিষ্ট লিপিভুক্ত বর্ণনা উদ্ধৃত করবার প্রয়োজন হয়ে থাকে, তবে তার সংশ্লিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করে কমা (,) দিয়ে তার নাম উল্লেখ করুন, এবং আর একটি কমা (,) ব্যবহার করে লিখুন – “ভারতীয় সংবিধান, ১৯৫০”, এবং একটি পূর্ণ-বিরতি (।) দিন। উদাহরণ স্বরূপ-

    iv.        সাংবিধানিক সংশোধন (Constitutional Amendment)

যদি আপনাকে কোন সাংবিধানিক সংশোধন উল্লেখ করতে হয়, তাহলে একটি কমা (,) দ্বারা উদ্ধৃত অংশটি লিখুন এবং তারপরে সংশোধনী আইনের সংখ্যা উল্লেখ করুন। এরপর “সাংবিধানিক সংশোধনী আইন” বাক্যাংশটি উল্লেখ করে আর একটি কমা (,) এবং সংশোধনের বছর দিন। পূর্ণ-বিরতির (।) প্রয়োজন এখানে পরিস্থিতি-নির্ভরশীল। উদাহরণ স্বরূপ –

    II.          লিপিবদ্ধ আইন এবং নৈমিত্তিক নিয়মসমূহ (STATUTES AND RULES)

      i.        লিপিবদ্ধ আইনসমূহ (Statute)

এই ক্ষেত্রে অধিনিয়ম/নিয়ম/প্রস্তাবিত আইনের খসড়া/পরিপত্র/বিধানতান্ত্রিক এবং কার্যনির্বাহী আদেশের নামের পরে কমা (,) দিয়ে আইন-জারির সন উল্লেখ করুন। তার পরে আর একটি কমা (,) দিয়ে আনুপূর্বিক ক্রমান্বয়ে সংশ্লিষ্ট লিপিবদ্ধ আইন সম্বন্ধিত ধারা/তফসিল/নিয়ম/অনুচ্ছেদ উল্লেখ করুন, এবং পাদটীকান্তে একটি পূর্ণ-বিরতি (।) দিন।

উদাহরণ স্বরুপ, ভারতীয় দন্ড-সংহিতার ৩০২ ধারা উল্লেখ করতে চাইলে লিখুন-

দেওয়ানি কার্যবিধির ১১ নম্বর আদেশের ৭ নম্বর নিয়ম উল্লেখ করতে চাইলে লিখুন-

যদি কোনো আইন বা সংবিধানে সংশোধনের পাদটীকা দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংশোধন আইনের নাম উল্লেখ করুন, তার পরে কমা (,) ব্যবহার করে বন্ধনীমধ্যে [ () ] সন-তারিখ উল্লেখ করুন, এবং পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহার করার আগে সংখ্যাসহ নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ

যদি এই সংশোধনটি একটি বিশেষ ক্ষমতাবলে জারি করা আদেশ(অর্ডিনেন্স) দ্বারা আনা হয়, তবে তা নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয় –

বিশেষ দ্রষ্টব্য: সংলগ্নতা বজায় রাখতে বাংলা বা সমজাতীয় উপভাষার হরফে লিপিবদ্ধ আইনগুলির নামের অননূদিত সংস্করণ ব্যবহার করা প্রস্তাবিত।

পৃষ্ঠা – ৩

 

    ii.        নৈমিত্তিক নিয়মসমূহ (Rules)

নিয়মের উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধিমালার প্রণয়নের সন সহ সেই নিয়মের নাম উল্লেখ করে কমা (,) ব্যবহার করুন। বাকি পদ্ধতির মত এখানেও নিয়ম নম্বর দ্বারা অনুসরণ এবং পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) বাধ্যতামূলক। উদাহরণ স্বরূপ-

 III.          মামলা-মোকদ্দমা, আদালতের নির্দেশ, এবং আদালতের নথিপত্র  (CASES, ORDERS & COURT DOCUMENTS)

      i.        আদালতের মামলা (Court Cases)

যদি আপনি আদালতের মামলা/আদেশ বা অন্যান্য আদালতের নথির উদ্ধৃতি দিতে চান তাহলে সংশ্লিষ্ট নথিতে মামলার নাম উল্লেখ করুন ‘বনাম’ ব্যবহার করে আবেদনকারী/বাদীকে বিবাদী/উত্তরবাদী থেকে আলাদা করে। মামলার নামের ঠিক পরে কমা (,) ব্যবহার করুন এবং তারপর বন্ধনীমধ্যে [ () ] পরিচ্ছেদ/পৃষ্ঠা নং লিখুন। পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে অপরিবর্তিত গঠনের বিভাগিও উদ্ধৃতিবিন্যাস উল্লেখ করুন। যেমন –

    ii.        ট্রাইবুনাল বিচারসভার মামলা (Tribunals’ Cases)

ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত উদ্ধৃত করার পদ্ধতি নিম্নরূপ-

পৃষ্ঠা – ৪

প্রথমে মামলার প্রদর্শিত নাম উল্লেখ করুন, আবেদনকারী/বাদীকে উত্তরবাদী/বিবাদীদের মধ্যে “বনাম” ব্যবহার করে। কেস নামের ঠিক পরে কমা ব্যবহার করুন এবং তারপর বন্ধনীমধ্যে [ () ] অনুচ্ছেদ/পৃষ্ঠা নং লিখুন। তারপর ট্রাইব্যুনালের নাম এবং অবস্থান বন্ধনীতে লিখে বন্ধনীমধ্যে [ () ] বিতর্কের প্রকৃতি লিখুন। পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে অপরিবর্তিত গঠনের দাপ্তরিক উদ্ধৃতিবিন্যাস (অনুপস্থিথিতিতে আদেশের তারিখ)উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

 IV.          পুস্তক এবং পুনরুক্তিময় প্রকাশনা (BOOKS AND PERIODICAL MATERIALS)

      i.        বই (Books)

“যদি আপনি একটি বই উদ্ধৃত করতে চান তাহলে লেখক (বা লেখকদ্বয়) এর নাম এবং বইয়ের নামের মধ্যে কমা (,) ব্যবহার করে উল্লেখ করুন, এবং তারপর প্রকাশকের নাম উল্লেখ করে আবার কমা (,) দিন। একই ভাবে, যদি বইয়ের সংস্করণ এবং প্রকাশের বছর উপলব্ধ করা সম্ভব হয়, তবে বন্ধনীমধ্যে [ () ] কমা (,) ব্যবহার করে তাদের আলাদা করে আবার কমা (,) দিন। পরিশেষে পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করে কমা (,) দিয়ে পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহার করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

পৃষ্ঠা – ৫

    ii.        ই-প্রকাশনী (E-books)

লেখকের নাম এবং বইয়ের নামের মধ্যে কমা (,)ব্যবহার উল্লেখ করুন, তারপর কমা (,) ব্যবহার করে প্রকাশকের নাম, বইয়ের সংস্করণ এবং প্রকাশের বছর উল্লেখ করুন। এরপর কমা (,) দিয়ে “এখানে উপলব্ধ-” বাক্যাংশটি উল্লেখ করুন এবং পাদটীকান্তে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে ই-প্রকাশনীটির আন্তর্জাতিক ঠিকানা উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

    V.          সংবাদপত্র/পত্রিকার নিবন্ধ/প্রতিবেদন (NEWSPAPER/MAGAZINE ARTICLES/REPORT)

কমা (,) দিয়ে আলাদা করে লেখকের নাম এবং নিবন্ধ/প্রতিবেদনের নাম উল্লেখ করুন এবং কমা (,) দিয়ে পত্রিকা/পত্রিকার মালিকের নাম উল্লেখ করে কমা (,) দিন। বন্ধনীমধ্যে [ () ] পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করে কমা (,) দিয়ে বছরের সাথে ভলিউম উল্লেখ করুন। এরপরে বিকল্প থাকলে “এখানে উপলব্ধ-” বাক্যাংশটি উল্লেখ করুন এবং পাদটীকান্তে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে ই-প্রকাশনীটির আন্তর্জাতিক ঠিকানাটি উল্লেখ করুন।

       i.          সংবাদপত্র (Newspaper)

সংবাদপত্রের নিবন্ধ উদ্ধৃত করতে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করুন-

     ii.          প্রতিবেদন (Report)

নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে রিপোর্ট উদ্ধৃত করুন-

“এনসিআরবি, ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া ২০১৯, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারত, (পৃষ্ঠা নং ৪০৩), এখানে উপলব্ধ- https://ncrb.gov.in/sites/default/files/CII%202019%20Volume%201.pdf।”

   iii.          পত্রিকার নিবন্ধ (Magazine)

নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে পত্রিকার নিবন্ধ উদ্ধৃত করুন-

“সীতাংশু সোয়াইন, এল.আই.সি.র দাম কত, ইন্ডিয়া টুডে, (পৃষ্ঠা নং ১৬), বছর ৩৫, খণ্ড ১৬। ১৮-২৪ মার্চ ২০২১।“

   iv.          জার্নালের নিবন্ধ (Journal Article)

লেখকের নাম উল্লেখ করে কমা (,) দিয়ে নিবন্ধের নাম উল্লেখ করে কমা দিন। তারপরে বন্ধনীর [ () ] মধ্যে পৃষ্ঠা নম্বর দিয়ে কমা (,) দেবার পরে জার্নালের খণ্ড উল্লেখ করে কমা দিন। এরপরে বিকল্প থাকলে পাদটীকান্তে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে জার্নালের নিবন্ধটি প্রকাশনার সন উল্লেখ করে কমা (,) দিন। উদাহরণ স্বরূপ –

     v.          প্রাক-প্রকাশনী প্রবন্ধ (Working Paper)

কমা (,) ব্যবহার করে লেখকের নাম এবং নিবন্ধের নাম আলাদা করে উল্লেখ করুন, এবং কমা (,) দিয়ে পত্রিকা/পত্রিকার মালিকের নাম উল্লেখ করে আবার কমা (,) দিন। তারপর বন্ধনীর [ () ] মধ্যে পৃষ্ঠা নম্বর এবং বাইরে সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধটির নম্বর উল্লেখ করে কমা (,) দিন। এরপরে পাদটীকান্তে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে কমা (,) দ্বারা প্রবন্ধটির প্রকাশনার তারিখ উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

   vi.          অনলাইন অনুচ্ছেদ (Online Article)

লেখকের নাম উল্লেখ করুন, যদি তা না দেওয়া হয়, তবে প্রচারমাধ্যমের নাম (যেমন ওয়েবসাইটের নাম ইত্যাদি) দিয়ে কমা (,)ব্যবহার করে নিবন্ধ/সংবাদপত্র নিবন্ধের নাম কমাসহ (,) উল্লেখ করুন। এরপরে প্রকাশনার তারিখ উল্লেখ করে কমা (,) দিয়ে “এখানে উপলব্ধ-” বাক্যাংশটি উল্লেখ করুন এবং পাদটীকান্তে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে ই-প্রকাশনীটির আন্তর্জাতিক ঠিকানাটি উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

  vii.          ব্লগ (Blog Article)

লেখকের নাম উল্লেখ করে কমা (,) দিয়ে নিবন্ধের নাম লিখুন এবং আবার কমা (,) ব্যবহার করুন। এরপর ব্লগের নাম উল্লেখ করে বন্ধনী [ () ] মধ্যে প্রকাশনার তারিখ দিয়ে কমা (,) দিন। সর্বশেষে “এখানে উপলব্ধ-” বাক্যাংশটি উল্লেখ করুন এবং পাদটীকান্তে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে ব্লগ-নিবন্ধটির আন্তর্জাতিক ঠিকানাটি উল্লেখ করুন। যেমন-

 VI.          আইন-প্রণয়নকর এবং বিভাগিও কার্যধারা (LEGISLATIVE & OFFICIAL PROCEEDINGS)

বিতর্কযোগ্য দপ্তরের নামের সাথে বিতর্কের নাম উল্লেখ করে কমা (,) ব্যবহার করুন, তারপর যে প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্ক পরিচালিত হয়েছিল তার নাম উল্লেখ করে কমা (,) দিন এবং তারপর অধিবেশনের সংখ্যা দেবার পর বন্ধনীমধ্যে [ () ] তারিখ দিন। সর্বশেষে কমা (,) দিয়ে “এখানে উপলব্ধ-” বাক্যাংশটি উল্লেখ করুন এবং পাদটীকান্তে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে কার্যধারাটির আন্তর্জাতিক ঠিকানা উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

VII.          প্রকাশ্য বিবৃতি (PRESS RELEASE)

প্রকাশ্য বিবৃতিটির নাম উল্লেখ করুন, এবং কমা (,) ব্যবহার করে যে বিবৃতি জারি করা সংস্থার নাম উল্লেখ করে কমা (,) দিন। এরপর প্রকাশ্য বিবৃতিটির তারিখের পর কমা (,) দিয়ে “এখানে উপলব্ধ-” বাক্যাংশটি উল্লেখ করুন এবং পাদটীকান্তে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে প্রস্তাবটির আন্তর্জাতিক ঠিকানা উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

অধ্যায়-২: সর্বদেশীয় সূত্রদয় (INTERNATIONAL SOURCES)

I.        জাতিসঙ্ঘের (ইউ এন) এর প্রস্তাব (RESOLUTIONS OF UNITED NATIONS)

এখানে প্রস্তাব পাস করা সংস্থার নাম সহ প্রস্তাবের নম্বর লিখে কমা (,) দিয়ে প্রস্তাবের নাম লিখে আবার কমা (,) ব্যবহার করুন। এরপর উদ্ধৃত প্রস্তাবের অনুবন্ধী পরিচ্ছেদ নং উল্লেখ করে কমা (,) দিয়ে তারিখ উল্লেখ করুন। এরপর আর একবার কমা (,) দিয়ে “এখানে উপলব্ধ-” বাক্যাংশটি উল্লেখ করুন এবং পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে প্রস্তাবটির আন্তর্জালীয় ঠিকানা উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

    II.        জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন বা বিবরনী (UN REPORTS)

প্রতিবেদন/বর্ণনামূলক উদ্ভাবক অঙ্গ/সমিতি/ ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি উল্লেখ করুন, তারপরে কমা (,) দিয়ে তার শিরোনাম উল্লেখ করে আবার কমা (,) দিয়ে ব্র্যাকেটের মধ্যে তারিখের পরে সংশ্লিষ্ট নম্বর উল্লেখ করুন। এরপর আর একবার কমা (,) দিয়ে “এখানে উপলব্ধ-” বাক্যাংশটি উল্লেখ করুন এবং পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহারের আগে প্রতিবেদন/বিবরনটির আন্তর্জাতিক ঠিকানা উল্লেখ করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

   III.        আন্তর্জাতিক কেস আইন (INTERNATIONAL CASE LAWS)

মামলার নাম উল্লেখ করুন, তারপর কমা (,) ব্যবহার করুন। ক্রমানুসারে আদালত সহ মামলা নম্বর এবং সন উল্লেখ করুন এবং পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি ব্যবহার করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

  IV.        চুক্তি/সম্মেলন  (TREATIES/ CONVENTIONS)

চুক্তিতে/সম্মেলনে অংশগ্রহনকারীদের নাম উল্লেখ করে কমা দিন (,), তারপরে সন্ধির শিরোনাম, চুক্তির তারিখ, এবং তার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে এবং পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহার করুন। উদাহরণ স্বরূপ-

অধ্যায়-৩: সঙ্কেতচিহ্ন ও সংক্ষেপণরীতি (SIGNS AND SYMBOLS)

কোনো উৎসে একাধিক লেখক থাকলে, আমরা লেখকের নাম লিখতে পারি এবং সব লিখতে পারি।

I.          অধি (SUPRA)

যখন কোন উৎস পূর্বে পুরোপুরি উদ্ধৃত করা হয়েছে, তখন “অধি” ফর্মটি ব্যবহার করা যেতে পারে। “অধি” ফর্মটি সাধারণতঃ লেখকের শেষ নাম, একটি কমা (,) এবং “অধি” শব্দটির পরে পূর্ববর্তী পাদটীকার সংখ্যা নিয়ে গঠিত। নির্দিষ্ট উপাদান উল্লেখ করার জন্য ভলিউম, অনুচ্ছেদ, বিভাগ বা পৃষ্ঠা সংখ্যা যোগ করা যেতে পারে, এবং অন্যান্য শ্রেণীর মত এখানেও পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহার করা আবশ্যকীয়। উদাহরণ স্বরূপ –

    II.        দেখুন (SEE)

“দেখুন” ব্যবহার করা হয় তখন, যখন কোন প্রতীতি সরাসরি উদ্ধৃত উৎস দ্বারা উদ্ভূত নয়, কিন্তু সরাসরি অনুসৃত বা অনুকৃত, এবং যেখানে উদ্ধৃত উৎসটি স্পষ্টভাবে সেই প্রস্তাব/প্রতীতিটি সমর্থন করে – সে পরোক্ষভাবে অবিটার এর মধ্য দিয়েই হোক বা প্রত্যক্ষভাবে কোন আইনী মতামত এর মধ্য দিয়ে। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, যে এই অভিব্যক্তির মধ্যে একটি অনুমানমূলক পদক্ষেপ রয়েছে। অন্যান্য শ্রেণীর মত এখানেও পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহার করা আবশ্যকীয়। উদাহরণ স্বরূপ –

   III.        তথায় (IBID)

“তথায়” সংক্ষেপণরীতি ব্যবহৃত হয় কোন উপান্ত্য পাদটীকার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে। “তথায়” রীতিটি শব্দগত প্রতিলিপিও হতে পারে, আবার একই উৎসের কোন ভিন্ন পৃষ্ঠা সংখ্যার প্রতিও নির্দেশ করতে পারে। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, যে প্রথম ক্ষেত্রে শুধু “তথায়” ব্যবহার করা গেলেও, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে “তথায় পৃষ্ঠা নং” বাক্যাংশের পরে উল্লেখিত পৃষ্ঠার সংখ্যাও উল্লেখ

করতে হবে। অন্যান্য শ্রেণীর মত এখানেও পাদটীকা শেষে পূর্ণ-বিরতি (।) ব্যবহার করা আবশ্যকীয়। উদাহরণ স্বরূপ –

প্রথম ক্ষেত্র:

দ্বিতীয় ক্ষেত্র:

  IV.         অধো (INFRA)

“অধো”র অর্থ “নিম্নস্থ”, বা “নীচে” এবং এটি শর্ট-হ্যান্ড প্রতীক যা নির্দেশ করে যে উদ্ধৃত উৎসটি সংশ্লিষ্ট নথিতে পরবর্তীতে উল্লেখ করা হবে বা আলোচনা করা হবে। ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি “অধি”র বিপরীত রূপ। উদাহরণ স্বরূপ-

আপনি যদি একই বইয়ের ভিন্ন পৃষ্ঠা নম্বর উদ্ধৃত করতে চান তাহলে উদ্ধৃতিটি নিম্নলিখিত বিন্যাসে হবে:

    V.        পূর্ণ-বিরতি (FULL STOP)

উদ্ধৃতি হোক বা না হোক, প্রতিটি পাদটীকার পরে একটি পূর্ণ-বিরতি (।) চিহ্নের প্রয়োগ অপরিহার্য।

Exit mobile version